তৃণমূল বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত, বোমাবাজীর অভিযোগ : উত্তেজনা বাঁকুড়ার ইন্দাস থানা এলাকায়

6th July 2020 10:46 pm বাঁকুড়া
তৃণমূল বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত, বোমাবাজীর অভিযোগ : উত্তেজনা বাঁকুড়ার ইন্দাস থানা এলাকায়


তৌসিফ আহমেদ ( ইন্দাস ) : তৃণমূল ও বিজেপি র দলীয় কর্মসূচী ঘিরে ধুন্ধুমার কান্ড বাঁকুড়ার ইন্দাস থানার হেয়াতনগর এলাকায় । উভয় রাজনৈতিক দল উভয়ের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে । বোমাবাজীর অভিযোগ ও রয়েছে । এলাকায় মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী সহ র‍্যাফ ।
জানা গেছে , ডঃ শ‍্যামাপ্রসাদ মুখার্জী র জন্মদিবস উপলক্ষে হেয়াতনগরে বিজেপির পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয় দলীয় কর্মসূচীর । সেই কর্মসূচী চলার সময় তৃণমূল কর্মীরা অতর্কিতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেছেন বিজেপি নেতা বংশী বাগদী । অপরদিকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে , হেয়াতনগর এর পাশেই তাদের দলীয় কর্মসূচী ছিল । পেট্রোল ডিজেলের মূল‍্যবৃদ্ধি র প্রতিবাদে সভার আয়োজন ছিল । সে সময় দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালায় বিজেপি বলে অভিযোগ তৃণমূল নেতা শেখ সফিউল এর । রাতের অন্ধকারে বোমাবাজি ও করে তারা বলে অভিযোগ । এরপরেই উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায় । অভিযোগ পাল্টা অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা । তারপরেই পুলিশ আসে ঘটনাস্থলে । এমনকি র‍্যাফ ও আসে ঘটনাস্থলে । পরিস্থিতি এখনো থমথমে । এলাকায় চলছে পুলিশের টহল । কারা ঘটনার সাথে যুক্ত তার খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ । বিজেপি র অভিযোগ তৃণমূল পায়ের তলায় মাটি হারিয়ে ফেলে অশান্তি তৈরী করছে । পাল্টা তৃণমূল দাবী করেছে বিজেপি মিথ‍্যা প্রচার করছে সব জায়গায় । এখানেও বাজার গরম করতে অপপ্রচার করছে । এই ঘটনায় তৃণমূল কোনভাবেই যুক্ত নয় । রাজনৈতিক উত্তেজনা রয়েছে এলাকায় ।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।